বগুড়ার শাজাহানপুরে অবৈধ অর্ধশতাধিক ইট ভাটার মধ্যে ৯টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এ সময় একটি ইটভাটার চিমনি ভেঙে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে প্রসিকিউটর হিসেবে বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ মিকাইল হোসাইন দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া পরিবেশ আধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারীসহ জেলা পুলিশ, শাজাহানপুর থানা, র্যাব-১২ বগুড়া ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নিরাপত্তার জন্য উপস্থিত ছিলেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ মিকাইল হোসাইন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মোহাম্মদ মিকাইল হোসাইন জানান, জেলার শাজাহানপুর উপজেলায় বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলার দুরুলিয়া এলাকার এন এম বি ব্রিকস, এস বি এফ ব্রিকস, টপ ব্রিকস, এস এস বি ব্রিকস, খলিশাকান্দি এলাকার এল জি বি ব্রিকস-০১, এল জি বি ব্রিকস-০২, এল জি পি ব্রিকস এবং জোকা এলাকার মেসার্স জীবন ব্রিকস ও মেসার্স মন্ডল ব্রিকস নামে ৯টি ইটভাটার প্রত্যেকটি থেকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে শাজাহানপুর উপজেলায় অবৈধভাবে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা পরিচালিত হয়ে আসছে। তাছাড়া শর্তপূরণ না করায় বগুড়া জেলার ৫ উপজেলার ২৩৫টি ইটভাটা নবায়ণ হয়নি। সঙ্গত কারণে জেলার সমস্ত ইটভাটা অবৈধ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরও বিগত ৩ বছর যাবত বীরদর্পে এই সমস্ত ইটভাটা পরিচালিত হয়ে আসছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার জানান, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে ইটভাটা মালিককে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কয়লায় পোড়া ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব বøক ইট অথবা ফ্লাই অ্যাশ, লাইম ও জিপসামের তৈরি ইট তৈরিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরিবেশ সুরক্ষায় এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
No comments:
Post a Comment